গৌরনদী প্রতিনিধি ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে এক ব্যবসায়ীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার এই বিয়োগান্তের ঘটনায় করোনা আতঙ্কে মৃতদের স্থানীয়ভাবে কেউ দাহ করতে না যাওয়ায় বরিশাল থেকে একটি টিম এসে লাশ দাহ করেন। নমুনা সংগ্রহ করা ছাড়াই সংখ্যালঘু সম্পদায়ের দুজনের মরদেহ অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া করা হয়। গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের চায়ের দোকানদার (৬০) ৫/৭ দিন ধরে সর্দি, জ্বর কাসিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ্য হয়ে গোপনে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিল। সোমবার সকালে সে নিজ বাড়িতে মারা যায়। একই দিন একই গ্রামের কৃষক (৫০) একই উপসর্গ নিয়ে মারা যান। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, মৃত দুজনের মধ্যে করোনা উপসর্গ ছিল এবং কযেকদিন ধরে তারা অসুস্থ্য ছিল। করোনা আতঙ্কে লাশ কেউ দাহ করতে রাজি হননি। পরে বরিশাল থেকে একটি টিম এসে লাশ দুটি দাহ করেন। গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আমরুল্লাহ বলেন, করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেলে তিন ঘন্টার মধ্যে নমুনা গ্রহন না করলে সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যায় না।সঠিক সময় আমাদের সংবাদ না দেয়ায় নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে লাশ দাহ করা হয়েছে। বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে হৃদরোগে মারা যাওয়ার কথা দাবি করে। কিন্তু স্থানীয় ও গ্রামবাসী করোনার উপসর্গ ছিল বলে জানিযেছে। গ্রামবাসীর মধ্যে করোনা আতঙ্ক থাকায় লাশ দাহ না করায় বরিশাল খবর পাঠানো বরিশাল থেকে একটি টিম এসে লাশ দাহ করে।’
Leave a Reply